চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত বাঁশখালী উপজেলার সর্ব দক্ষিণে পুইছড়ি শেখেরখীল ইউনিয়নের নাপোড়া শেখেরখীল গ্রামে নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে অত্র এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব স্বর্গীয় নবকুমার মাতব্বর মহোদয়ের পৃষ্টপোষকতায় বিদ্যালয়টি জুনিয়র হাই স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। কোন ব্যক্তি বিশেষের নামে নয় বরং এলাকার নামে অত্র বিদ্যালয়টি "নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়" নামে নামাকরণ করা হয়।
অতপর, ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে অত্র এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, শিক্ষাবিদ জনাব নুরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের অকৃত্রিম চেষ্টার ফলে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে রূপ লাভ করে। বিদ্যালয়টি হাঁটি হাঁটি পা পা করে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ব্যাচ এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অত্র এলাকার দানবীর শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব শিক্ষক বাবু নলীনি রঞ্জন দেব দাশ মহোদয় বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদে আসেন। ২৩৭ শতাংশ জমি নিয়ে এ বিদ্যালয়ের অবস্থান। বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট তিনটি দ্বিতল ভবন ও স্কুল সংশ্লিষ্ট একটি সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে। মূল ভবনের নীচ তলায় অফিস কক্ষ ও দুটি শ্রেণিকক্ষ, বিজ্ঞানাগার ও লাইব্রেরী রয়েছে। পশ্চিম পার্শ্বস্থ ভবনে ৫টি কম্পিউটার সমৃদ্ধ বিশাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আটটি ক্লাসরুম ও শিক্ষক মিলনায়তন রয়েছে। বিদ্যালয়ে ৫টি শ্রেণিতে মোট ২১টি শাখা রয়েছে। বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি দক্ষিণমুখী। সামনে খেলার মাঠ। ২টি টিউবওয়েল ও ৬টি শৌচাগার আছে। রয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। বিদ্যালয়ের চারদিকে পাকা দেয়াল নির্মাণ করায় সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। চারজন অভিজ্ঞ শিক্ষককে নিয়ে দু'বছরের জন্য একাডেমিক কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, উত্তরোত্তর ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বর্তমান অবকাঠামো অপর্যাপ্ত। বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমানে শিক্ষাদানের পরিবেশ অনেক উন্নত। বিদ্যালয়ের চারদিকে গাছ দ্বারা বেষ্টিত থাকায় ভৌগলিক পরিবেশ অতি মনোরম ও সুন্দর। বর্তমানে বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী রয়েছে। শিক্ষক মহোদয়গণ অান্তরিকতার সাথে শিক্ষাদান করেন বিধায় দিনদিন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছর ধরে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল তারই প্রমাণ। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে জে.এস.সি পরীক্ষায় ১০ জন শিক্ষার্থী জুনিয়র সরকারি বৃত্তি লাভ করে। এছাড়া বেসরকারিভাবে অগণিত বৃত্তি পাওয়ার স্বাক্ষর রাখছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সুষ্ঠু তদারকি, শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও শিক্ষক-অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে লেখাপড়ার মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্ত ও বহিস্থ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের সুনাম বাড়িয়ে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সময়নিষ্ঠা ও বিষয়ভিত্তিক পাঠদান, সময়মতো পাঠ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেবাস সমাপ্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রদান সহ-পাঠক্রমিক কার্যাবলীর সুষ্ঠু বাস্তবায়নে বিদ্যালয়টি ক্রমোন্নতি তরান্বিত হচ্ছে।
- কর্তৃপক্ষ।